বৃহস্পতিবার (১ মে) মে দিবসে সকাল থেকেই শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। স্লোগানে স্লোগানে শ্রম আইনের কঠোর বাস্তবায়ন চান তারা। আর ফেডারেশন নেতারা শ্রমিকদের দুর্দশা থেকে মুক্তির উপায় বের করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
দিবস আসে দিবস যায়, থেকে যায় শ্রমিকের দুঃখ-বঞ্চনা। মে দিবসের ধাক্কা বিশ্বের শ্রমিকদের সংহতি বাড়িয়েছে, প্রেরণা জুগিয়েছে শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। কিন্তু তাদের ন্যূনতম মজুরি, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র অধিকার যেমন এখনও রয়েছে পিছিয়ে তেমনি পিছিয়ে রয়েছে অনেক কাজের সামাজিক স্বীকৃতি।
এমন বাস্তবতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মে দিবস ঘিরে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা শ্রেণি পেশার শ্রমিকরা র্যালি নিয়ে জড়ো হন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা করা, বয়স্ক শ্রমিকদের ভাতার আওতায় আনাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।
কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার দাবির সঙ্গে তাদের চাওয়া শ্রম আইনের কঠোর বাস্তবায়ন। মালিকদের বিরুদ্ধ কথা বলার স্বাধীনতা চান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
এক নারী শ্রমিক বলেন, ঈদের ছুটি নিয়ে বঞ্চিত হচ্ছি। পাঁচ দিনের জায়গায় তিন দিন ছুটি হয়। এক দেশে দুই আইন মানি না।
এদিকে, রাজধানীর সায়েদাবাদে স্লোগান আর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দিবস উদযাপনে সড়কে নামেন পরিবহন খাতের শ্রমিকরা। দাবি জানান, প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার।
মিছিলে অংশ নেয়া এক শ্রমিক নেতা বলেন, বেতন-ভাতা তিন চার মাস আটকে রাখা হয়। আমরা চাই, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধ করা হয়।
আরেক নারী শ্রমিক নেতা বলেন, ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। যে ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছে, সেটা কোনো কারখানায় কার্যকর করা হয়নি।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষের চাপিয়ে দেয়া বাড়তি ট্রিপের কারণেই অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটছে।