পাহাড় থেকে সেনা ও বাঙালি প্রত্যাহারের দাবি

সারাদেশ

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদফতরে অনুষ্ঠিত আদিবাসী ইস্যু-বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের (UNPFII) ২৪তম অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নারীদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন অগাস্টিনা চাকমা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রতিনিধি ও সংগঠনটির সভাপতি সন্তু লারমার নাতনি।

“আদিবাসী নারীর অধিকার-বিষয়ক বৈশ্বিক সংলাপ” শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে অগাস্টিনা জানান, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণে জুম্ম নারীরা রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর ভাষায়, “সেনা ক্যাম্প, ভূমি বিরোধ ও বাঙালি পুনর্বাসনের সমাধান ছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন জুম্ম নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই জামিনে মুক্তি পেলেও, এখনো কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। বিচারহীনতা ও রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা আদিবাসী নারীদের জীবনে স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জাতিসংঘের ফোরামের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অগাস্টিনা বলেন, “১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে এবং আদিবাসী নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের সুপারিশ করতে হবে।”

এই অধিবেশনে অগাস্টিনার সঙ্গে আরও অংশ নিয়েছেন পিসিজেএসএস প্রতিনিধি চঞ্চনা চাকমা ও মনোজিত চাকমা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলও অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পিসিজেএসএস ও সহযোগী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সেনা ক্যাম্প ও ভূমি জবরদখলের অভিযোগ করে আসছে। তবে সরকারি মহল থেকে দাবি করা হয়, শান্তিচুক্তির ৭০ শতাংশের বেশি ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সেনা বাহিনী সেখানে সন্ত্রাস মোকাবেলায় নিয়োজিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *