দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে ভোলাবাসীর। দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা এবার সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বরিশালের সঙ্গে, আর তা সম্ভব হবে দেশের সবচেয়ে বড় সেতুর মাধ্যমে।
সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার, যা পদ্মা সেতুর দ্বিগুণ, অথচ নির্মাণ ব্যয় হবে তার অর্ধেক, প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। চার লেনের এই সেতু নির্মিত হলে মাত্র ৩০–৪০ মিনিটে ভোলা থেকে বরিশালে পৌঁছানো যাবে—নৌপথের দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান ঘটবে।
সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানের মিয়াগাও কোম্পানি। পাশাপাশি কোরিয়া ও চীন-সহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি রয়েছে তালিকায়। বিদেশি সহায়তা না মিললে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তুতিও রয়েছে সরকারের।
সেতু বিভাগের সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হতে পারে নির্মাণকাজ।
এই সেতুটি শুধু ভোলার যোগাযোগ ব্যবস্থার নয়, বরং পুরো দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র বদলে দিতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটি হবে দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু, ভারতের অটল সেতুর পরই যার অবস্থান।