সিন্ধুর পানি চুক্তি নিয়েও বোকা বনে গেছে ভারত

আন্তর্জাতিক

হামলা-পাল্টাহামলার পর গত ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। দু-একদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। পেহেলগাম ইস্যুর উত্তেজনা এখন সিন্ধুর পানি চুক্তিতে এসে পড়েছে। পাকিস্তান বলছে, পানি সমস্যার সমাধান না হলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। পানি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা যুদ্ধের শামিল হবে। বিশ্বব্যাংকও ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিশ্বব্যাংকের সভাপতি অজয় বঙ্গ বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তিতে যেকোনো পরিবর্তনের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয়েরই পারস্পরিক সম্মতি প্রয়োজন। এই চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত বা পরিবর্তন করা যাবে না।

তিনি বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখা বা একতরফাভাবে স্থগিত করার কোনো ধারা নেই। চুক্তিটি যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশের কোনো বিধান নেই। হয় এটি বাতিল করতে হবে, নয়তো অন্য একটি চুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে হবে। এর জন্য দুই দেশের একমত হতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়, দীর্ঘ নয় বছর ধরে আলোচনার পর ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এই চুক্তিটি সই করেন। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর চুক্তি স্থগিত করে ভারত।

উল্লেখ্য, পেহেলগাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই একাধিক পদক্ষেপ নেয়। এ নিয়ে টানা প্রায় দুই সপ্তাহ উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নিয়েছে। গত ৬ মে পাকিস্তানের ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। জাবাবে ১০ মে ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসলামাবাদ।

পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চরম উত্তেজনার মধ্যে ১০ বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্মতির কথা জানান।

সূত্র: আরটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *