সহবাসের সময় বীর্য স্ত্রীর গর্ভে না ফেলে বাইরে ফেলা হলে ফিকহের ভাষায় একে “আজল” বলা হয়। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি সরাসরি গুনাহ নয়, বরং নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বৈধ।
হাদিসে দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে সাহাবিরা আজল করতেন, এবং তিনি তা নিষেধ করেননি। সুতরাং স্ত্রী সম্মত থাকলে এবং সন্তান গ্রহণ সাময়িকভাবে বিলম্বিত করতে চাইলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে।
তবে সন্তান না নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামে উদ্দেশ্য গুরুত্ব রাখে। শুধু দারিদ্র্য, রোজগারের অনিশ্চয়তা বা সন্তান পালনের ভয় দেখিয়ে যদি সন্তান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা হয়, তাহলে তা শরিয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয়। কোরআনে বলা হয়েছে, রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর উপর। সুতরাং সন্তান জন্ম নিলে তাদের রিজিকের ব্যবস্থাও আল্লাহই করে থাকেন।
তবে যদি স্ত্রীর স্বাস্থ্যের সমস্যা থাকে, কিংবা গর্ভধারণে ঝুঁকি থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ও শরিয়তের আলোকে সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বৈধ। এই ক্ষেত্রে আজল, কন্ডম কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্থায়ীভাবে সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত (যেমন: স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ) শরিয়তের দৃষ্টিতে সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত, যদি না তাতে জরুরি চিকিৎসাগত প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হওয়ায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শরিয়তের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তাই এ ধরনের বিষয়েও কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা জরুরি।