শিবির বোতল মারবে না ,
এটা তাদের ইতিহাস , ঐতিহ্য ও সংবিধানে নেই !
জনাব মাহফুজ স্যারকে বোতল নিক্ষেপের পর তিনি দাবি করলেন—ওরা শিবির!
কিন্তু তিনি কোনো তদন্ত করলেন না, কাউকে ধরলেন না, এমনকি কাউকে চিহ্নিতও করলেন না। সরাসরি বলে দিলেন—ওরা শিবির।
আমি নিজে জামায়াত বা শিবিরের কেউ নই। তবে যতটুকু জানি, ওরা বোতল ছোড়ার মতো কাজ করে না। এটা তাদের আদর্শে নেই। ওদের বিরুদ্ধে সার্জারির অভিযোগ আছে—সত্য-মিথ্যা জানি না। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে “বোতল নিক্ষেপ” এর মতো অভিযোগ আমি প্রত্যাখ্যান করছি।
আমার কথায় যদি বিশ্বাস না হয়, ছাত্রলীগের ছেলেদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন—ওরা বলবে, শিবির বোতল মারবে না। ওরা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং পরিকল্পিত কাজ করে—ওদের প্রতিটা কর্মী একজন মাস্টারমাইন্ড।
আপনি যেভাবে অভিযোগ করেছেন, তাতে ওদের রাজনৈতিক ইতিহাস ও পরিচয়ের ওপর সরাসরি অপমান , মাহফুজ স্যার। ওরা কীভাবে খেলবে তা বোঝার আগেই আপনার অনেক দেরি হয়ে যাবে।
আপনাদের কথা ও আচরণে সতর্কতা জরুরি। বোতলটা কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত দিকে নয়, বরং আপনার সরকারের দিকেই ছোড়া হয়েছে।
এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক।
আপনারা যদি মনে করেন নিরাপত্তা নেই, তবে শিক্ষা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
চাইলেই তো নিজের ফেসবুক পেজে বক্তব্য দিতে পারেন, কিংবা সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।
যেখানে নিরাপত্তার ঘাটতি আছে, সেখানে না যাওয়াই শ্রেয়।
চাইলেই আপনি বু*লে*টপ্রুফ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে পারেন। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে—আপনারা দেশের প্রতিনিধি।
অপ*রাধের বিরুদ্ধে বলতেই পারেন, কিন্তু সময়, প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে বলা উচিত।
বিরোধিতার পথে না গিয়ে, আলোচনা ও সংশোধনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
ড. ইউনূস বা শিবির-জামায়াতের বিপক্ষে সরাসরি কিছু বলেছেন বলে আমার জানা নেই।
হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁর বক্তৃতায় প্রথম যে নাম উচ্চারণ করেছিলেন, তা ছিল জামায়াতের আমিরের নাম।
তাই বোঝা যায়, আপনার বক্তব্যে ভাষাগত ত্রুটি না থাকলেও কৌশলগত ভুল রয়েছে, মি. মাস্টারমাইন্ড।
মেসি, নেইমার কিংবা রোনালদোও সব সময় বল পেলেই গোল দেয় না—অনেক সময় তারা বল ছেড়ে দেয় অন্যের জন্য।
সব বলেই শট নিতে নেই।
প্রিসিলার ফেসবুক পেজ থেকে হুবহু কপি