বাজেটে আগুন! দাম বাড়ছে ১৫টির বেশি জিনিসের

Uncategorized

এক কাপ চা হাতে নিয়ে আপনি যদি বাজেট সংবাদে চোখ রাখেন, ভাবুন তো—হঠাৎ মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, এমনকি গামছার দামও যদি বেড়ে যায়, কেমন লাগবে? এটা কোনো গুজব নয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এমন বাস্তবতা তৈরি হচ্ছে।

দেশে তৈরি ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এই প্রচণ্ড গরমে ঠান্ডা থাকার খরচ বাড়তে চলেছে।

দেশীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল ফোনে ২ থেকে ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে ভ্যাট। নতুন ফোন কেনার আগে তাই ভালোভাবে হিসেব-নিকেশ করে নিতে হবে।

প্লেট তৈরিতে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে, ফলে দাড়ি কাটার খরচও বাড়বে। রূপচর্চা সামগ্রী যেমন লিপস্টিক, ফেসওয়াশ, আইলাইনার—এসবের শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। শুধু আয়নার সামনে নয়, এবার বাজেটের সামনে দাঁড়াতে হবে।

বাস ও ট্রাকের বডি তৈরিতে বসছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে পরিবহন খরচে, ফলে বেড়ে যেতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

দেশীয় সুতা তৈরিতে কর বাড়ানো হচ্ছে। ফলে গামছা, লুঙ্গি, এমনকি সাধারণ কাপড়ের দামও বাড়তে পারে।

রড তৈরির মূল কাঁচামালের উপর কর বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে নির্মাণ খরচ বেড়ে যেতে পারে উল্লেখযোগ্য হারে।

বিদেশি চকলেটের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৪ ডলার থেকে করা হচ্ছে ১০ ডলার। ফলে প্রিয়জনকে চকলেট উপহার দিতে এবার খরচে কাঁটা।

বিদেশি খেলনার ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে। বাবুদের মন খারাপ হলেও—এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।

হেলিকপ্টার আমদানিতে বসছে ১০ শতাংশ শুল্ক। আমরা না উড়লেও যারা উড়েন, তাঁদের জন্যও বাজেটের প্রভাব অনিবার্য।

একটি বাজেট কেবল অর্থনৈতিক নীতির দলিল নয়—এটি আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা, খরচ আর স্বপ্নের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই বাজেট ঘোষণার দিন শুধু অর্থ উপদেষ্টার কণ্ঠ নয়, প্রতিটি পরিবারের হিসাবের খাতা খুলে যায় একসঙ্গে।

সূত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *