এবার ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা বললেন মোদি

আন্তর্জাতিক

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর পাকিস্তানও বিভক্ত হয় এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নেয়। সেই স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক সহায়তা ছিল অবিস্মরণীয়। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তানের সামরিক বর্বরতার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন।

মোদি বলেছেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমরা দেশের মানুষের অধিকার চাই।” ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যে নৃশংসতা, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তা ইতিহাসের অন্যতম নির্মম অধ্যায়। পাকিস্তানের মূল দক্ষতা হলো সন্ত্রাস ও নরসংহার। পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে জনসভায় মোদি এ কথা বলেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, জম্মু-কাশ্মীরের পেহলগাঁয়ে পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় সেনারা ‘অপারেশন সিদুর’ চালিয়ে কঠোর জবাব দিয়েছে। মোদি বলেন, পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে নেমে ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ভয় পায়, তাই তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারত সবসময় তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছে এবং ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানকে কঠোর মূল্য দিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে মোদি বলেন, রাজ্যে পাঁচটি সংকট রয়েছে, যার জন্য সরকারের অদক্ষতাই দায়ী। যদিও সরাসরি কোনো দলের নাম উল্লেখ করেননি, ইঙ্গিত ছিল তৃণমূল সরকারের দিকে।

এর জবাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি একজন বড় নেতা, কিন্তু আমেরিকা কিছু বললে এক সেকেন্ডের জন্যও কথা বলেন না। যদি সাহস থাকে, টেলিভিশনে সরাসরি মুখোমুখি আসুন। নির্বাচনের আগে মানুষের আবেগ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।”

মোদি আরও বলেন, ভারতীয় সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করেছে, যা পাকিস্তান কল্পনাও করতে পারেনি। তারা আমাদের শক্তি বুঝে গিয়েছিল, কিন্তু আমরা তাদের শক্তির জবাব দিয়েছি। তার বক্তব্যে মোদি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক অক্ষমতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *