আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য

রাজনীতি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “এটা কোনো বিপ্লব নয়, এটা জঙ্গি-সন্ত্রাসের অংশ, যা বহির্বিশ্বের শক্তির মদদে দীর্ঘদিন ধরে চলছে।”

সাবেকপ্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রশাসনের কিছু অংশ বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি গড়তে চেয়েছিল এবং সেই প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “আমি কখনোই দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় থাকার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।”

তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “মানবিক করিডরের নামে আমাদের সমুদ্রসীমা পর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।” তার দাবি, এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে আরাকান আর্মিকে সহায়তা করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত।

শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেন, “ড. ইউনূস এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে তিনি এখন ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছেন।”

তিনি জানান, ড. ইউনূস বিভিন্ন লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, কিন্তু দেশের জনগণের জন্য কিছু করেননি। উল্টো শ্রমিকদের পাওনা টাকা আত্মসাৎ করে শ্রম আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা আরও অভিযোগ করেন, “আজকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ড. ইউনূস কোন সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে এসব নির্দেশ দিচ্ছেন? জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, জঙ্গিদের সহায়তায় ক্ষমতা দখল করেছেন।”

তিনি বলেন, “এটি কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে দেশকে অশান্ত করতে চায় তারা। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশবিরোধী শক্তিরাই আজ ক্ষমতার পেছনে ছুটছে।”

শেষেসাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষই আমার পরিবার। আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এই দেশের মানুষের জন্য। যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, আমি জনগণের পাশে থাকব। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *