পাকিস্তানের চূড়ান্ত হুশিয়ারি

আন্তর্জাতিক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রকাশ্য হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সিনেট সদস্য আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস জাফরি।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কেবল ইরানের ওপর নয়, তা গোটা মুসলিম উম্মাহর ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং মুসলিম বিশ্ব একত্রে তার জবাব দেবে।’

পাকিস্তানি সিনেটর জাফরি বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ খামেনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি একজন ধর্মীয় নেতা এবং মারজায়ে তাকলিদ (ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ)। তাকে হুমকি দেওয়া মানে গোটা ইসলামী নেতৃত্বকেই হুমকি দেওয়া।’

তিনি জানান, শীর্ষ আলেমরা ইতোমধ্যে ফতোয়া জারি করেছেন যে, ইসলামের দৃষ্টিতে যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যারা সর্বোচ্চ নেতাকে হুমকি দেয়, তারা আল্লাহর শত্রু এবং তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

গত ১৩ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল ইরানের ওপর প্রকাশ্য হামলা চালিয়ে বহু সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, যা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং এনপিটি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।

এই ১২ দিনের যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আয়াতুল্লাহ খামেনি একটি সহজ টার্গেট।’ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও ঘোষণা দেন, ‘খামেনিকে হত্যা করলেই যুদ্ধ শেষ হবে।’

এ প্রসঙ্গে জাফরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিচ্ছি, যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে পাকিস্তানসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব এর উপযুক্ত জবাব দেবে। পাকিস্তানে কোনো মার্কিন নাগরিক নিরাপদ থাকবে না। আমরা চুপ করে থাকব না, যখন তারা কোনো আইনই মানে না।’

এর আগে, রোববার ইরানের প্রখ্যাত আলেম গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারে শিরাজি এবং গ্র্যান্ড আইয়াতুল্লাহ হোসেইন নূরী-হামেদানি ফতোয়া জারি করে বলেন, ‘যে বা যারা ইসলামী নেতৃত্বকে আঘাত বা হুমকি দেয়, তারা উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে অপরিহার্য।’

সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *