আমাদের বেচে থাকতে হলে অবশ্যই পাচ ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে। কারণ নামায মানুষের উপর আল্লাহ ফরয করে দিয়েছেন। আর আল্লাহর আদেশ আমাদেরকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। তেমনি ভাবে নামাযের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেই নিয়ম কানুন অনুসারে নামায পড়তে হবে। তা না হলে সেই নামায আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য হবে না।তবে এর মধ্যে জুমুআর নামাযের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন একদা জুমুআর দিনে সুলাইক গাত্ফা- নী এলেন । এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন । লােকটি বসে পড়ায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন , হে সুলাইক ! তুমি দাঁড়াও অতঃপর দুই রাকাআত নামায পড় এবং তা সংক্ষেপে পড় । তারপর তিনি বললেন , তােমাদের যে কেউ জুমুআর দিনে আসবে এমতাবস্থায় খতীব খুতবা দিচ্ছেন। তাহলে সে যেন দুই রাকআত পড়ে এবং সংক্ষেপে পড়।
একদা বিখ্যাত সাহাবী আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) জুমুআর দিনে এলেন । এমতাবস্থায় মারওয়ান খুতবা দিচ্ছিলেন । তিনি দাড়িয়ে নামায পড়তে লাগলেন । অতঃপর মারওয়ানের চৌকিদার এল তাঁকে বসিয়ে দেবার জন্য ।
কিন্তু তিনি অমান্য করে নামায শেষ করলেন । তারপর যখন তিনি সালাম ফিরলেন তখন অন্যান্যরা তাকে বললেন । আল্লাহ আপনার উপর দয়া করুন । ওরা তাে আপনার উপরে ঝাপিয়ে পড়ার উপক্রম করেছিল । তাই তিনি বললেন আমি তাে কিছুতেই ঐ দুই রাকআত ছাড়তাম না । কারণ ওটাকে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম থেকে দেখেছি । তারপর তিনি উল্লেখ করলেন যে , এক ব্যক্তি জুমুআর দিনে এলােমেলাে অবস্থায় এল । এমতাবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন । অতঃপর তিনি তাকে হুকুম দিলেন । ফলে তিনি দু ‘ রাকআত নামায পড়লেন । অথচ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতেই থাকলেন । আলা ইবনু খালিদ কুরাশী বলেন , একদা আমি বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বাসরীকে দেখলাম তিনি জুমুআর দিনে মাসজিদে ঢুকলেন । তখন ইমাম খুতবা দিচ্ছিলেন । তথাপি তিনি দু ‘ রাকআত পড়লেন , তারপর বসে গেলেন। ইবনু আবী সালমান বলেন, একদা এক ব্যক্তি ইবুন আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন সেই নামায সম্পর্কে যখন ইমাম খুতবায় রত থাকে। উত্তরে তিনি বললেন লোকেরা যদি এটা পড়ে তাহলে ভাল কাজ হবে। হাফেয ইবনু হাজার আস্কালানী বলেন , কোন একজন সাহাবী থেকেও একথা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত নেই যে , খুতবা চলাকালিন নতুন আগত ব্যক্তির দুই রাকআত পড়া মানা । আমার শাইখ আবুল ফাল তিরমিযীর ভাষ্যে বলেন , যার সাহাবীদের থেকে বর্ণনা করেছেন যে , খুতবা চলাকালিন নামায ও কথা মানা সেটা তাদের জন্য যারা মাসজিদের ভেতরে থাকবে । যারা নতুন আসবে তাদের তাহিয়্যাতুল মাসজিদ মানা নেই। আর উক্ত হাদীস থেকে প্রমাণ হয় যে খুতবা চলাকালিন সময়ে দুই রাকআত নামায পড়ে তার পর বসে খুতবা শুনতে হবে