আসলে হাজীর বিরিয়ানি নামটা শুনলে কেমন যেন জিভে পানি চলে আসে। আর চাইলেই তো আর হাতের কাছে পাওয়া যায় না যে খেয়ে নেয়া যাবে। আর তখনি মনে হয় ইস! আজ যদি হাজীর বিরিয়ানি রান্না করতে পারতাম তাহলে তো আর সেই সুদূর ঢাকায় কস্ট করে যেতে হত না। এই রকম যারা চিন্তা করেন। তাদের আর এই রকম চিন্তা করার কোনো দরকার নেই। কেননা তাদের এইরুপ চিন্তার সমাপ্তি ঘটাতেই আজ আমার এই পোষ্টটি। আর শতভাগ আশা রাখছি যে, পোস্টটি পরে অবশ্যই আপনারা আপনাদের পছন্দের হাজীর বিরিয়ানি রান্না করে নিজেই বাসায় খেতে পারবেন। আর কস্ট করে সেই ঢাকায় গিয়ে খেতে হবে না আপনার আমার পছন্দের হাজীর বিরিয়ানি!
প্রথমে আপনি একটি মসলা তৈরি করে নিন। এও জন্য ২ ইঞ্চি সমান লম্বা ২ টুকরো দারুচিনি, একটা জয়ফল দু ভাগ করে অর্ধেকটা, ১ চা চামচ সাদা গুল মরিচ অথবা কালো গুল মরিচ, ২ তুক্রা জয়েত্রি, ৬-৭ টা লং, ৭-৮ টা এলাচি। এর সবগুলই একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। এগুল ব্লেন্ড করার ক্ষেত্রে ভেজে নেয়ার কোন দরকার নেই, ভাজা ছারাই ব্লেন্ড করতে হবে।
এখন একটি পাতিল নিন। সেখানে হাফ কাপ পরিমান সয়াবিন তেল এবং হাফ কাপ পরিমান সরিষার তেল দিয়ে দুটা তেজপাতা হাত দিয়ে ছিঁড়ে দিন, এর সাথে হাফ কাপ পরিমান পেয়াজ বাটা এবং ২ টেবিল চামচ পরিমান আদা বাটা, ১.৫ টেবিল চামচ পরিমান রসুন বাটা। এখন সবগুলো একসাথে ৪-৫ মিনিট কসিয়ে নিন। এরপর কসিয়ে নেয়া মশলায় ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া ১ কেজি পরিমান মাংস দিন। এখন সেখানে ১ চা চামচ মরিচের গুরা, ১ চা চামচ ধনিয়ার গুড়্ এবং ১ চা চামচ জিরার গুরা দিন। তারপর প্রথমে গুরা করা মসলার সম্পূর্ণটাই দিয়ে দিন। এর সাথে পরিমান মত লবন দিয়ে একটু মিসিয়ে নিন। এই সময় চুলা মিডিয়াম টু হাইয়ে রেখে মাংস টাকে ভালোভাবে কসিয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষন কসালে সেখানে মাংসের পানি বেরিয়ে আসবে তাই আর পানি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে আপনার যদি মনে হয় মাংস্টাকে সিদ্ধ করার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই তাহলে হালকা পানি মিসিয়ে ঢেকে রেখে মাংসটাকে সিদ্ধ করে নিন।
সিদ্ধ হয়ে গেলে পাতিল থেকে শুধুমাত্র মাংসগুলো তুলে নিন। পাতিলে থাকা তেলে ৩ কাপ পরিমান কালিজিরা চাল (আপনারা যে কোনো সুগন্ধি চাল ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে চুলা হালকা বারিয়ে চালটাকে ভালোভাবে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে, আপনি যে কাপ দিয়ে ৩ কাপ চাল নিয়েছেন সেই কাপ দিয়ে তার দ্বি গুন অর্থাৎ ৬ কাপ গরম পানি দিন। এরপর সাধ্মতো লবন দিয়ে নিন। তবে মনে রাখবেন প্রথমে মাংসে লবন দেয়া আছে তাই লবনটা পরিমান মতোই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। বেশ কিছুক্ষন পর যখন দেখবেন চালে বলগ উঠা শুরু হয়েছে তখন মাংস্টাকে দিয়ে দিন সাথে ১৫- ২০ টা কাচা মরিচ দিয়ে দিন। তবে মরিচ দেয়ার ক্ষেত্রে গোটা মরিচ দিতে হবে ফারা যাবে না, তাহলে বিরিয়ানি ঝালের কারনে খেতে পারবেন নাহ। এখন পাতিল্টা ঢেকে ১৫-১৬ মিনিট রাখবেন তবে ঢাকনায় কোনো ছিদ্র থাকলে সেটা বন্ধ করে দিতে হবে। ঠিক ১৫ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে বিরিয়ানিটাকে একটু উলটে পালটে উপর নিচে করে দিন তারপর সেখানে হাফ চা চামচ পরিমান কেওড়া জল ছরিয়ে দিয়ে দিন। এরপর আবার ঢাকনা দিয়ে ৫-৬ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। ৫ মিনিট পর তৈরি হয়ে যাবে হাজীর বিরিয়ানি!