অঙ্গীকার ভঙ্গ করা হারাম । কিয়ামতের দিন অঙ্গীকার ভঙ্গকারীর পিঠে একটি পতাকা লাগিয়ে দেয়া হবে । যা তার জন্য অপমানের কারণ হবে । অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে বান্দার হক নষ্ট করা হয় । এদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে । আল্লাহ্ তা ‘ আলা বলেন “ তােমরা অঙ্গীকার পূর্ণ কর , নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। ( সূরা ইসরা আয়াত ৩৪ ) । আল্লাহ্ তা ‘ আলা অন্যত্র বলেন হে মুমিনগণ ! তােমরা তােমাদের অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। ( সূরা মায়েদা আয়াত ১ ) । আল্লাহ্ তা ‘ আলা আরাে বলেন তােমরা আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূর্ণ কর , যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং দৃঢ় কসম করার পর তা ভঙ্গ করাে না । তােমরা আল্লাহকে যামীন করেছ । নিশ্বচয়ই আল্লাহ তােমাদের কর্ম জানেন। (সূরা নাহল আয়াত ৯১ ) ।
ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের দিন অঙ্গীকার ভঙ্গকারীর পিঠে একটি পতাকা দাড় করে দেওয়া হবে এবং বলা হবে এই পতাকা হচ্ছে অমুকের ছেলে অমুকের অঙ্গীকার ভঙ্গ করার পরিচয়। আনাস (রাঃ) বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের দিন প্রত্যেক অঙ্গীকার ভঙ্গ কারীর জন্য একটি করে পতাকা থাকবে , যা দ্বারা তাকে অঙ্গীকার ভঙ্গকারী বলে চেনা যাবে ।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ওয়াদা ভঙ্গকারীর পিঠের উপর একটি পতাকা থাকবে । অন্য বর্ণনায় রয়েছে , প্রত্যেক ওয়াদা ভঙ্গকারীর ওয়াদা ভঙ্গ অনুপাতে পতাকা উত্তোলন করা হবে । মনে রেখ , সবচেয়ে বড় ওয়াদা ভঙ্গ হচ্ছে সর্ব সাধারণের আমীরের ওয়াদা ভঙ্গ করা। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যার মধ্যে চারটি স্বভাব থাকবে সে প্রকৃত মুনাফিক হবে ( ১ ) তার নিকট আমানাত রাখা হ ‘ লে খিয়ানত করবে ( ২ ) কথা বললে মিথ্যা বলবে ( ৩ ) ওয়াদা করলে ভঙ্গ করবে এবং ( ৪ ) যখন ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তখন অশ্লীল কথা বলে।
সমাজে বা পরিবারে চলা ফেরা কাছে এমন কোন অঙ্গীকার করা যাবে না যেটি আমি বা আপনি করতে পারব না। এরকম ধরনের অঙ্গীকার করতে হবে যে আমরা সবাই তা করতে পারব এবং মানতে পারব। এমন কোন কাজ করা যাবে না যে কাজটি করলে আপনার যারা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সমস্ত কাজ করতে নিষেধ করেছেন।কোনভাবেই যাতে আপনার দ্বারা অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে কঠোরভাবে সচেতন থাকতে হবে তা না হলে আল্লাহর নিকট আপনি কোন ভাবে আপনার আমল বা কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য করাতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে পূর্ব থেকেই সচেতন থাকতে হবে যাতে আপনার ধারা কোন প্রকার কারো ক্ষতি না হয়।আর যখনই আল্লাহ আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে তখনই আপনি রাসুল সাল্লালাহু সালামের শাফায়াত পাবেন আর এর বিনিময় আপনি সম্ভবত জান্নাত পেতে পারেন। এটি আপনার সর্বোচ্চ পাওয়া